ব্রেকিং নিউজ

আতঙ্ক নয় সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব প্রতিরোধ। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “স্বাস্থ্য বাতায়ন” এ গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ফ্রি কল করুন ১৬২৬৩ নম্বরে। -করোনা ভাইরাসের আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন-

সুজানগরে উঠতে শুরু করেছে নতুন বাদাম, বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি


এম এ আলিম রিপনঃ পাবনার সুজানগর উপজেলায় বর্তমানে উঠতে শুরু করেছে নতুন চিনা বাদাম। আর এবারে বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায় এবছর এ উপজেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে বাদাম রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্ত কৃষকেরা এর চেয়েও বেশি পরিমাণ জমিতে বাদামের আবাদ করেছে। আর এবার আবওহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলন  হয়েছে।

সুজানগর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বাদাম চাষাবাদ হয়ে থাকে ভায়না, সাতবাড়িয়া, মানিকহাট, নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের পদ্মার চরঅঞ্চল এলাকাগুলোতে। উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জানান গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর জমিতে বাদামের খুব ভাল ফলন হয়েছে। এবং অন্যান্য বছর যেখানে এক বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ বাদাম পেতাম কিন্তু এ বছর ৯  থেকে ১০ মণ বাদাম আমরা ঘরে তুলতে পারছি । 

উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বুলচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক গোলাম মওলা বলেন বাদাম উৎপাদন করতে যে টাকা ব্যয় হয় সে টাকা ছাড়াও এবছর বাদাম জমিতে ভাল হওয়ায় বর্তমানে ২৬০০-২৭০০ টাকা মণ দরে বাদাম বিক্রি করায় আমাদের কিছু টাকা লাভ হবে। উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের রাইপুর এলাকার কৃষক মোঃ গফুর হোসেন বলেন সরকার থেকে অনান্য ফসলের বীজ বিভিন্ন কৃষকদের মাঝে প্রদান করলেও আমাদের কখনও বাদামের বীজ প্রদান করা হয়না তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবী আগামী বছর যেন আমাদের মাঝে বাদামের বীজ প্রদান করা হয়। তাহলে আমাদের অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। 

এদিকে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর, সুজানগর পৌরসভার চরভবানীপুর ও চর সুজানগর  এলাকায় গিয়ে দেখাযায় কৃষকেরা মাঠ থেকে বাদাম তুলে বাড়িতে আনলে সেই বাদাম গাছ থেকে আলাদা করতে কৃষকের পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। এছাড়া দিনপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় ছোট বড় নারী শ্রমিকদের দিয়ে গাছ থেকে বাদাম আলাদা করার কাজ করছেন অনেক কৃষকেরা । 

সুজানগর পৌরসভার চর সুজানগর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী জানান চর থেকে বাদাম সহ অন্যান্য ফসল আনতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়।তাই তিনি পদ্মার শাখা নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান সরকারের নিকট। মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান এ এস এম আমিনুল ইসলাম জানান এবছর অনান্য ফসলের তুলনায় বাদামের ফলনটা খুব ভাল হয়েছে। আর আগামীতে আরো কিভাবে ভাল ফলন কৃষকেরা পেতে পারে সে বিষয়ে তাদের বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা প্রদান করার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। 

উপজেলা কৃষি অফিসার ময়নুল হক সরকার বলেন উপজেলায় এবছর বাদাম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে কারণ আবহাওয়া অনুকুলে ছিল এবং কৃষকদের মাঝে  উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হয়। আর আগামীতে সরকার থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে বাদামের বীজ প্রদান করলে তা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বাদাম উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান চর ভবানীপুর ও চর সুজানগর সহ অন্যান্য ইউনিয়নের কৃষকেরা যাতে সহজেই যানবাহনে করে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য চর-অঞ্চল থেকে নিজ বাড়িতে আনতে পারে সে লক্ষে ইতিমধ্যে সরকার ব্রীজ নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে এবং অতিদ্রতই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.