কচুরিপানায় ভরপুর সাদুল্লাপুর কোল, পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে মাছের
এম এ আলিম রিপনঃ পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ও চরতারাপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত ঐতিহ্যবাহী সাদুল্লাপুর কোল হিসাবে পরিচিত বিলটি সংস্কার না করায় বর্তমানে কচুরিপানায় ভরপুর হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সুত্রে জানা যায় সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর থেকে চরতারাপুর ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের মৎস্যজীবিরা লিজ নিয়ে এই কোলে মাছ চাষ করে থাকেন। পাবনা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার কামরুল হাসান জানান সাদুল্লাপুর ও চরতারাপুর ইউনিয়নের অংশ মিলে এই কোলের আয়তন ১৩৮ একর। আর এই কোলটিতে মাছ চাষের মাধ্যমে প্রায় ১৮০টি জেলে পরিবার তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।কিন্তু বর্তমানে কোলটিতে কচুরিপানায় ভরপুর হওয়ায় মৎস্য উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
স্থানীয় জেলে ইসহাক আলী বলেন এই সাদুল্লাপুর কোলের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই কোলের মাছগুলো অত্যন্ত সুস্বাদ হওয়ায় অনেক দুর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ মাছ কিনতে এখানে এসে ভিড় করেন। কিন্তু বর্তমানে কোলটি কচুরিপানায় ভরপুর থাকায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় মাছের উৎপাদন তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছেনা। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট এই কোল থেকে কচুরিপানা অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
অন্য আরেকজন মৎস্যজীবি ইউনুস প্রাং বলেন আমরা দরিদ্র পরিবারের মানুষ আর এই কোলে মাছচাষ করেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি। কিন্ত বর্তমানে কোলে কচুরিপানা থাকায় অতীতের মত এবারে মাছ উৎপাদন না হওয়া নিয়ে চিন্তিত ও হতাশায় রয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবিরা।
স্থানীয় মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মী আলতাফ হোসেন বলেন জলাশয়/বিল সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে অথবা অন্য যেকোন কর্মসূচীর মাধ্যমে এই কোল বিলটির কচুরিপানা অপসারণ করা হলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল বলেন এই বিলে শুধু মাছ উৎপাদনই নয় এই বিলটির অপরুপ সৌন্দয্য মুগ্ধ করে সকল মানুষকে। তাই তিনি অতিদ্রুত এই সাদুল্লাপুর ও চরতারাপুর কোল বিলটি থেকে কচুরিপানা অপসারণ সহ বিলটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানান।
No comments