ব্রেকিং নিউজ

আতঙ্ক নয় সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব প্রতিরোধ। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “স্বাস্থ্য বাতায়ন” এ গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ফ্রি কল করুন ১৬২৬৩ নম্বরে। -করোনা ভাইরাসের আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন-

অবশেষে র‌্যাবের হাতে আটক হলেন সুজানগরের নকল ঘি,দুধ ও মাঠা প্রস্তুতকারী কারখানার মালিক দুলাল ঘোষ

এম এ আলিম রিপনঃ অবশেষে র‌্যাবের হাতে আটক হলেন সুজানগরের নকল ঘি, দুধ ও মাঠা তৈরির কারখানার মালিক শ্রী দুলাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে র‌্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার এস, এম, জামিল আহমেদ এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল পাবনা জেলার সদর থানাধীন পাবনা শহরস্থ ‘‘এয়ার কর্ণার’‘ মার্কেটস্থ মদিনা ফার্মেসীর সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে তাকে আটক করে। 

সুজানগর থানায় মামলা নং- ১৯, তারিখ ২০-০৬-১৯, খ্রিঃ , ধারা-  ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-গ এর ১ (ক) (র‌্যাব বাদী) মামলার ভেজাল ঘি,দুধ ও মাঠা প্রস্তুতকারী কারখানার মালিক হিসাবে এজাহার নামীয় ৩ নং পলাতক আসামী উক্ত দুলাল ঘোষ। সে স্থানীয় সুজানগর পৌরসভার  নন্দিতাপাড়া এলাকার মৃত অজিদ চন্দ্র ঘোষের ছেলে। গ্রেফতারের সময় দুলাল ঘোষের নিকট হতে তার ব্যক্তিগত নগদ ৪,০৭,৪৩০ (চার লক্ষ সাত হাজার চারশত ত্রিশ) টাকা মাত্র, ভারতীয় ৩৪০ (তিনশত চল্লিশ) রুপি ০২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

উপরোক্ত মামলার এজাহার নামীয় গ্রেফতারকৃত উপরোক্ত আসামীকে তার ব্যক্তিগত মালামালসহ পাবনা জেলার সুজানগর থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রীয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব। উল্লেখ্যএর আগে গত বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সুজানগর পৌরসভার নন্দিতাপাড়ায়  উক্ত শ্রী দুলাল ঘোষের  নকল দুধ, মাঠা ও ঘি প্রস্তুতকারী ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালায়। 

এ সময় কারখানার দুই শ্রমিক মোঃ আলাল প্রামানিক ও মিঠন প্রামানিক নামক কারখানার দুই শ্রমিককে গ্রেফতার করা করা সহ উক্ত অবৈধ ফ্যাক্টরী হতে ভেজাল দুধ, মাঠা ও ঘি প্রস্তুতের উপাদান পামওয়েল ১,২১৬ (এক হাজার দুইশত ষোল) লিটার, সয়াবিন তৈল ৭৮ (আটাত্তর) লিটার, ভেজাল মাঠা ২৫ (পঁচিশ) কেজি, ভেজাল মাখন ২৭ (সাতাশ) কেজি, ব্লেন্ডার মেশিন ০৬ (ছয়) টি এবং লবণ ৭৫ (পঁচাত্তর) কেজি উদ্ধার করে র‌্যাব। অভিযানকালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল হতে  সে সময় কারখানার মালিক দুলাল ঘোষ (৪০), পিতা-মৃত অজিদ চন্দ্র ঘোষ, পালিয়ে যায়।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় প্রায় ২৫ বছর ধরে গোপনে উক্ত দুলাল ঘোষ অবৈধভাবে এই নকল দুধ, মাঠা ও ঘি প্রস্তুত করে বিক্রি করে ৫তলা একটি সহ ৩টি বিলাসবহুল বাড়ী নির্মাণ করা সহ কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছেন। এবং বর্তমানে আকিজ কোম্পানিতে সে এই নকল দুধ বিক্রি করে আসছিলেন। উল্লেখ্য এর আগেও একাধিকবার প্রশাসন দুলাল ঘোষের এই গোপন কারখানায় অভিযান চালায়।

No comments

Powered by Blogger.