ব্রেকিং নিউজ

আতঙ্ক নয় সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব প্রতিরোধ। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “স্বাস্থ্য বাতায়ন” এ গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ফ্রি কল করুন ১৬২৬৩ নম্বরে। -করোনা ভাইরাসের আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন-

সাতবাড়ীয়া গণহত্যায় নিহত শহীদদের প্রতি জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধাঞ্জলি

এম এ আলিম রিপনঃ  ১৯৭১ সালের ১২ মে সাতবাড়ীয়ায় গণহত্যায় নিহত শহীদদের স্মরণে স্থানীয় ডিগ্রী কলেজ মাঠে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন নবাগত পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। সোমবার তিনি এ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। 

এ সময় সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) শাহেদ পারভেজ,  উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিৎ দেবনাথ, সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শামছুল আলম, মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সাতবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছেত বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজা হাসান,  সুজানগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ তৌফিক হাসান, সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য  ১৯৭১ সালের ১২ মে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ নিরপরাধ মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গণহত্যা করে। পাক হানাদার বাহিনী ইউনিয়নের কুড়িপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, কাচুরী, তারাবাড়ীয়া, ফকিৎপুর, সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, সিন্দুরপুর, হরিরামপুর,  ভাটপাড়া, বর্তমানে পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়া কন্দর্পপুর এবং গুপিনপুর সহ ১৫/২০টি গ্রামে অপারেশন চালিয়ে এ গণহত্যা করে। 

তারা এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ওই সকল গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আ,লীগ নেতা মহির উদ্দিন, ফকোর উদ্দিন, সমির সাহা, ওয়াজেদ আলী, গোপাল শেখ, অসিত সাহা, খিতিশ সাহা, বাসুদেব বিশ্বাস, চেতনা শেখ, আব্দুল কদ্দুস এবং সেকেন্দার আলীসহ নাম নাজানা প্রায় ৫/৬‘শ নারী-পুরুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এদের মধ্যে পাক হানাদার বাহিনী ও দেশীয় রাজাকাররা প্রায় ২‘শ জনের লাশ পার্শ্ববর্তী পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। 

শুধু তাইনা হানাদার বাহিনী গণহত্যা করার পাশা-পাশি গোটা ইউনিয়নে ব্যাপক লুটপাট, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ চালায়। ২০১৩ সালে বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সাতবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করে। 

No comments

Powered by Blogger.