ব্রেকিং নিউজ

আতঙ্ক নয় সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব প্রতিরোধ। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “স্বাস্থ্য বাতায়ন” এ গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ফ্রি কল করুন ১৬২৬৩ নম্বরে। -করোনা ভাইরাসের আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন-

সুজানগরে হিন্দু বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় পিবিআই’র হাতে আটক-২

এম এ আলিম রিপনঃ সম্প্রতি সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জে হিন্দু বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত: জেলা ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাবনার টিম। বুধবার ভোর রাতের দিকে সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- সুজানগর পৌরসভার চর ভবানীপুর গ্রামের মৃত জুনাই প্রাং এর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬) এবং মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে আঃ মান্নান ওরফে পান্না (২৮)।

পিবিআই পাবনা জেলা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, গত ২৫ মে রাতে সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসামপুর গ্রামে শ্রী সনত কুমার দাস এর বাড়ি দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় সনত কুমার দাস বাদি হয়ে সুজানগর থানার একটি  মামলা দায়ের করেন। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করে।  

মামলাটি তদন্তের নির্দেশনা পেয়ে উপ- পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেনের উপর গত ২৪ জুন মামলার তদন্তভার অর্পণ করা হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর মাত্র ১২ দিনের মাথায় এসআই সামরুল হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই সবুজ আলীসহ পিবিআই এর টিম সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত চক্রের দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

এসআই সামরুল হোসেন জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত আরিফুল ইসলাম আরিফকে গ্রেফতার করার পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ডাকাত মান্নান ওরফে পান্নাকেও রাতেই গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি লোহার রড, স্ক্রু ডাইভার সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। তারা এসব দিয়ে ঘরের দরজা ও তালা ভেঙে থাকে। তালা ভেঙে ঘরে ঢোকাসহ তারা অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করে থাকে বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তারা সুজানগরের সনত কুমারের বাড়িতে ডাকাতি করার কথাও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

 ডাকাত আরিফুল ইসলামের বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ২৫ মে রাতে এ ডাকাত দলটি সনত কুমার দাস এর বাড়ির গেটের উপর দিয়ে ভিতরে যায়। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধালার অস্ত্র দিয়ে বাড়ির কয়েক সদস্যকে রক্তাক্ত জখম করে তারা। এরপর অস্ত্রের মুখে স্বর্ণের অলংকার, নগদ টাকা ইত্যাদি নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামরুল হোসেন আরও জানান তাদের স্বীকারোক্তি মতে অন্যান্য ডাকাত দলের সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আর গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.