ব্রেকিং নিউজ

আতঙ্ক নয় সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব প্রতিরোধ। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “স্বাস্থ্য বাতায়ন” এ গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ফ্রি কল করুন ১৬২৬৩ নম্বরে। -করোনা ভাইরাসের আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন-

শতভাগ পাশ করে সুনাম অক্ষুন্ন রাখলেন আবুল কাশেম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়


এম এ আলিম রিপনঃ জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ২০১৯ সালের পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করে সুনাম অক্ষুন্ন রাখলেন সুজানগর পৌর সদরে অবস্থিত সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত আবুল কাশেম এর নামে প্রতিষ্ঠিত আবুল কাশেম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। 

এবারে প্রথমবারের মত মোট ২৬ জন ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায়। তন্মধ্যে সবাই কৃতিত্বের সাথে পাশ করে। এছাড়া এবারে প্রথমবারের মত বিদ্যালয়ের  বিভিন্ন শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায়ও ছাত্রছাত্রীরা শতভাগ পাশ করেছে বলে জানান অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ সম্পা খাতুন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান মেধাবী শিক্ষকদের মাধ্যমে অত্যান্ত দক্ষতার সাথে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করানো হয় এ বিদ্যালয়ে। পাশাপাশি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদও নিয়মিত সর্বদিক তদারকি করেন। এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে নিয়মিত শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মতবিনিময় করা হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন আমার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত। 

এ প্রতিষ্ঠান যেন আগামীতে ভাল রেজাল্ট করে সুজানগর উপজেলার শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হতে পারে এ জন্য সকলের দোয়া কামনা  করেন। এদিকে গত ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে প্রতিষ্ঠিত আবুল কাশেম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির ভাল ফলাফল সহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে এক বছরের মধ্যেই গত ৩১-১২-২০১৯ ইং তারিখ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পাঠ দানের অনুমতি প্রদান করে। 

উল্লেখ্য সফল রাজনীতিক মরহুম আবুল কাশেম ২০১৬ সালের পহেলা অক্টোবর পৌরসভার চরসুজানগর  গ্রামে তার নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি জিবীত থাকাকালীন ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

এর পর তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সক্রিয়ভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। এরপর আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে সাংগঠনিক যোগ্যতার কারণে প্রথমে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এর পর ১৯৭৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৪ সাল থেকে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি দুইবার সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান এবং ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

No comments

Powered by Blogger.