ব্রেকিং নিউজ

আতঙ্ক নয় সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব প্রতিরোধ। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “স্বাস্থ্য বাতায়ন” এ গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ফ্রি কল করুন ১৬২৬৩ নম্বরে। -করোনা ভাইরাসের আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন-

ডাক্তার হওয়ার পথে চরতারাপুরের মেধাবী ছাত্রী নাজিফার বাধা দারিদ্রতা


এম এ আলিম রিপনঃ অদম্য মেধাবী রিকাত আনযুম নাজিফা অভাবকে জয় করে সম্প্রতি প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে সুজানগর উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ১২১৯ মার্কস পেয়ে মেধা তালিকায় ২য়  হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। 

সুজানগর শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল নাজিফা। সে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের কোলচুরী গ্রামের আব্দুল কদ্দুস শেখের কন্যা। 

এর আগে  একই বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং ৪০ নং ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেছিল সে। তার এই সাফল্যের পিছনে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পিতামাতার অনুপ্রেরণা ও চেষ্টা রয়েছে বলে জানায় নাজিফা।

নাজিফারা ২ বোন ১ ভাই। নাজিফার পিতা একজন দরিদ্র কৃষক। তাদের সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় পিতার। আর তাই আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বর্তমানে মেয়ের পড়া লেখা নিয়ে শঙ্কিত মা-বাবা। 

তার পিতা জানান অভাবের সংসারে মাঠে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করি এবং আমার স্ত্রী বাড়ীতে হাঁস মুরগী পালন করে সংসারের খরচ চালাই। মেয়ের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারি না। কিন্ত তার মেধা অত্যন্ত ভাল ও দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতায় এবং শিক্ষিকা আঞ্জু আপা সহ অন্য শিক্ষকেরা নাজিফাকে প্রাইভেট পড়াতে কোন টাকা নেয়নি বলেও জানান নাজিফার পিতা। 

নাজিফা তারএ ভাল ভলাফলের জন্য মহান আল্লাহতায়ালার নিকট শুকরিয়া আদায় করা সহ শিক্ষক ও পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আর তার ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নাজিফার বলেও জানান । 

সুজানগর শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনসুর আলী জানান, নাজিফা তার বিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্রী ছিল। এবং বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা কালে সকল পরীক্ষাতেই প্রথম হতো নাজিফা। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় সকল শিক্ষকেরা আলাদাভাবে নজর রাখতো তার প্রতি। 

এসএসসি পরিক্ষায় মোট ১৩০০ মার্কসের মধ্যে ১২১৯ পেয়ে সুজানগর উপজেলার মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেছে সে। প্রধান শিক্ষক আরো জানান নাজিফার এই কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছে।
 
চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল বলেন নাজিফা সুজানগর উপজেলার মধ্যে এসএসসিতে ২য় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করায় আমরা চরতারাপুর ইউনিয়নবাসী আনন্দিত ও গর্বিত।  মেধাবী ছাত্রী নাজিফা শুধু তার পিতা-মাতা, এলাকাবাসী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয় সারা উপজেলাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে।

No comments

Powered by Blogger.