সুজানগরের মাঠে মাঠে হলুদের ছোয়া
এম এ আলিম রিপনঃ সুজানগর উপজেলার মাঠের পর মাঠ সর্ষে চাষ হয়েছে। এবার কৃষক ও সংশ্লিষ্ট অফিস বাম্পার ফলনের আশা করছেন। দেশের ঋতু পরিক্রমায় হেমন্ত ও শীত ঋতুতে মাঠে মাঠে এই সরিষার চাষ হয়ে থাকে। ফলে এ উপজেলায় চাষ হওয়া সরিষা দেশের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ পুরণে ভূমিকা রাখে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে।
সুজানগর উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ সরিষা ফুলের অপূর্ব হলুদ শোভার চোখ জুড়ানো দৃশ্য আর মন মাতানো গন্ধে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়ে দিয়েছে। ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার হলুদ স্বপ্নে বিভোর এ অঞ্চলের কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬’শ ষাট হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ।আর চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার বেশি সরিষা চাষ হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আমন ধান উঠার পর ইরি বোরো ধান রোপনের আগে জমি অলস পড়ে থাকে। এ সময়ে শরিষা চাষ করা হয়। ফলে একদিকে যেমন তেলের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাব লাভবান হয়, অন্যদিকে জমিতে জৈব সারের ঘাটতি পুরণে বিরাট ভূমিকা রাখে।
সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার জানান, গত কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে সর্ষে চাষ বাড়ছে। উচ্চ ফলনশীল সরিষা ও আবাদ ভালো হওয়ায় গত বছরের থেকে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। আমন ধান কাটার পর মাঠ ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় জমি পড়ে থাকে। এ সময় সরিষা চাষ করা হয়। সরিষা তুলে আবার বোরো ধান আবাদ করা যায়। ফলে প্রতিবছরই এ অঞ্চলের কৃষকরা সরিষা চাষ করে থাকে।
No comments